ভোল্টেজঃ কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের চাপকে ভোল্টেজ বলে। একে ইংরেজী বর্ণ (V) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজ পরিবাহির দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যর মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। কোন সার্কিটের ভোল্টেজ পরিমাপের জন্য মাল্টি-মিটারের সিলেক্টর নবকে V তে সিলেক্ট করতে হয়। মাল্টি-মিটারে দুই ধরনের ভোল্টেজ রেজ্ঞ থাকে ডিসি ভোল্টেজ (DC Voltage) এবং এসি ভোল্টেজ (AC Voltage)। যে ভোল্টেজ পরিমাপ করতে হবে অবশ্যই সেই রেজ্ঞ এ সিলেক্ট করতে হবে না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কোন সার্কিটের ভোল্টেজ পরিমাপের জন্য সার্কিটের নিউটল বা গ্রাউন্ড প্রন্তে মিটারের নেগেটিভ প্রোব (Black Probe) স্থাপন করতে হয় আর সার্কিটের পজেটিভ বা কম্পোনেন্ট এর অপর প্রন্তে মিটারের পজেটিভ প্রোব(Red Probe) স্থাপন করতে হয়।
কোন পরিবাহির যে ধর্মের কারনে পরিবাহির এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় এবং শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে কারেন্ট বলে।
কারেন্ট দুই প্রকার:-
১. ডারেক্ট কারেন্ট (Direct Current)
২. অল্টারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current)
ডারেক্ট কারেন্টঃ
যে কারেন্ট নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয় এবং নির্দিষ্ট মান থাকে তাকে ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে। সাধারনত ব্যাটারি এবং রেকটিফার থেকে উৎপন্ন হওয়া কারেন্টকে ডিসি কারেন্ট বলে।
অল্টানেটিং কারেন্টঃ
যে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় সর্বদা নিয়ম মেনে দিক পরিবর্তন করে এবং মান পরিবর্তনশীল তাকে অল্টানেটিং কারেন্ট বলে। এই কারেন্ট তাপ, পানি, ঘর্ষন এর মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। এক সাইকেলের মান ১৮০ ডিগ্রী হয়ে থাকে।