রেজিস্টর সাধারনত কালার কোডের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। রেজিস্টর এ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের রঙের দাগ কাটা থাকে। এই দাগ গুলোকে রেজিস্টর কালার কোড বলা হয় যার উপর রেজিস্টর মান নির্নয় করা হয়। রেজিস্টর এ সাধারনত ১২ ধরনের কালার ব্যবহৃত হয়। এই কালার গুলো বিভিন্ন স্তরের জন্য বিভিন্ন মানের নির্দেশ করে।
কালার কোডের মান মনে রখার জন্য আমরা একটি সুত্র মনে রাখতে পারি ঃ
BB ROY is a Good Boy and Very Good Worker.
S/N
|
Color
Name
|
Value
|
Multiplier
|
Tolerance
|
01
|
Black
|
0
|
1
|
|
02
|
Brown
|
1
|
10
|
(+/-)1%
|
03
|
Red
|
2
|
100
|
(+/-)2%
|
04
|
Orange
|
3
|
1000
|
|
05
|
Yellow
|
4
|
10000
|
|
06
|
Green
|
5
|
100000
|
|
07
|
Blue
|
6
|
1000000
|
|
08
|
Violet
|
7
|
||
09
|
Grey
|
8
|
||
10
|
White
|
9
|
||
11
|
Gold
|
-
|
0.1
|
(+/-)5%
|
12
|
Silver
|
-
|
0.01
|
(+/-)10%
|
- রেজিস্টর এর কালারের দাগ গুলোর প্রস্থতা(মোটা বা চিকন)।
- রেজিস্টর বডি থেকে দাগ গুলোর ফাকা জায়গা।
- কালার দাগ গুলোর মোট সংখ্যা।
- কালার গুলোকে স্তর অনুক্রমে সাজানো।
চিত্রের উপর ক্লিক করুন
রেজিস্টরের যে দিকের কালারের দাগ মোটা এবং রেজিস্টর বডির দুই প্রান্ত থেকে যে প্রান্তের কালার কাছাকাছি সেই দিক থেকে কালার কোড পড়া শুরু করতে হয়। রেজিস্টর এর শেষ প্রান্তের দুইটি কালার ব্যান্ড (অর্থাৎ, কালার দাগ) যথাক্রমে মাল্টিপিলার এবং অপরটি সহনশীলতা (Tolerance)। চিত্রে 4, 5 এবং 6 ব্যান্ড রেজিস্টর দেখানো হয়েছে। রেজিস্টরে ব্যান্ড সংখ্যা যতোই হোক না কেন কালার কোড নির্নয় পদ্ধতি একই। অমরা চিত্রের উদাহরনের মাধ্যমে নির্নয় করবো। চিত্রে 6-ব্যান্ডের রেজিস্টরের বডির দুই প্রান্তের মধ্যে Orange কালার এর দিকে ফাঁকা জায়গা কম এবং কালার ব্যান্ড মোটা তাই কালার কোড পড়া Orange কালার প্রান্ত থেকে শুরু করতে হবে। Orange এর মান 3 সেই কারনে আমরা ১ম ব্যান্ডের জন্য 3 বসাবো । ২য় ব্যান্ডের কালার White যার মান 9 তাই আমরা ১ম বান্ডের মানের পর ২য় ব্যান্ডের এর জন্য 9 বসাবো। ৩য় ব্যান্ডের কালার Brown যার মান 1 তাই আমরা ১ম এবং ২য় ব্যান্ডের মানের পর ৩য় ব্যান্ডের জন্য 1 বসাবো। ৪র্থ ব্যান্ডের কালার Red অর্থাৎ, মাল্টিপিলার মান বসবে। আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি শেষের দুই ব্যান্ডের ক্ষেত্রে ১ম টি মাল্টিপিলার এবং ২য় টি টলারেন্স হবে। 4 এবং 5 ব্যান্ডের ক্ষেত্রে নিয়মটি ঠিক থাকবে। 6-ব্যান্ডের জন্য শেষের দিক থেকে েএক ব্যান্ড আগেই নিয়ম অনুসরন করতে হবে। তাই ৪র্থ ব্যান্ডের Red কলারের মাল্টিপিলার মান 100 ১ম,২য় এবং ৩য় ব্যান্ডের মানের সাথে মাল্টিপিলার (অর্থাৎ, গুনন) আকারে বসবে (চিত্র)। ৫ম ব্যান্ডের কালার Silver এবং এই ব্যান্ড টলারেন্স নির্দেশ করে তাই ৫ম ব্যান্ডের কালারের জন্য (+/-)10% বসবে। গানিতিক প্রকাশঃ
অর্থাৎ, 10% যোগ করলে রেজিস্টর এর মান হবে (39100+3910)=43010 Ohm এবং 10% বিয়োগ করলে মান হবে (39100-3910)=35190 Ohm. ৬ষ্ঠ ব্যান্ড দ্বারা তাপমাত্রার সহনশীলতা পরিমাপ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শেষের ব্যান্ডে একটি দাগ থাকে যা রেজিস্টরের Normally Value প্রকাশ করে। যদি না থাকে তবে মান 120% হবে।
টিকাঃ
অর্থাৎ, 10% যোগ করলে রেজিস্টর এর মান হবে (39100+3910)=43010 Ohm এবং 10% বিয়োগ করলে মান হবে (39100-3910)=35190 Ohm. ৬ষ্ঠ ব্যান্ড দ্বারা তাপমাত্রার সহনশীলতা পরিমাপ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শেষের ব্যান্ডে একটি দাগ থাকে যা রেজিস্টরের Normally Value প্রকাশ করে। যদি না থাকে তবে মান 120% হবে।
টিকাঃ
- সার্কিটে রেজিস্টরের সঠিক মান প্রয়োজন হয় না। সেই জন্য রেজিস্টরে Tolerance ব্যবহৃত হয়।
- রেজিস্টরের পাওয়ার রেটিং (Watt) থাকে। যা দ্বারা রেজিস্টরের মধ্যদিয়ে কারেন্ট প্রবাহ পরিমান নির্ভর করে।
- তাপমাত্রার পরিবর্তন (বাড়লে) রেজিস্টরের মান পরিবর্তন হয়।
- বয়স বাড়লে রেজিস্টর এর স্থায়িত্ব কমে যায়।